৭ “কেনে আলগ করছইন? অইন্য জাতি থাকি তুমরার মানুষ বেশি অতার লাগি নি? না, মোটেউ না। তুমরা তো হকল জাতি থাকি কম আছলায়। ৮ তা-ও তাইন তুমরারে খুব মায়া-মহব্বত করইন, আর তুমরার বাফ-দাদা অকলর গেছে যে কছম করছলা, অতার লাগিউ তুমরারে আলগ করছইন। মাবুদে তান কুদরতি আত লাগাইয়া তুমরারে বার করিয়া আনছইন, মিসরর বাদশা ফেরাউনর আত থাকি আর গুলামির দেশ থাকি তুমরারে আজাদ করছইন। ৯ অখন তুমরা মনো রাখিও, তুমরার মাবুদ আল্লাউ অইলা আসল মাবুদ। তাইনউ চিরকালিন হক-হালাল। যেরা আশিক অইয়া তানে মহব্বত করে আর তান হুকুম-আহকাম মানে, তাইন তারার আজার আজার ছিড়ি পর্যন্ত নিজর ওয়াদা করা জবান আর দয়া বওয়াল রাখইন। ১০ অইলে যেতায় বদ সাওস করিয়া তান বায় পিছ দিলায়, তাইন ইতারে বিনাশ করিয়া জলদি করি বদলা দেইন। ১১ এরলাগি আইজ তুমরারে যে হুকুম-আহকাম, নিয়ম-কানুন আর শরিয়ত দিরাম, ইতা খুব খিয়াল করিয়া আমল করিও।

১২ “ও বনি ইছরাইল, তুমরা অউ হুকুম-আহকামর কথা কান পাতিয়া হুনো, আর ইতা খিয়াল করি আমল করো। তেউ তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার বাফ-দাদাইন্তর লগে, তান দয়া-মায়ার বেয়াপারে কছম খাইয়া যে আপোস-চুক্তি করছলা, ইতা তুমরার লগে বওয়াল রাখবা। ১৩ তাইন তুমরারে মায়া-মহব্বত করবা, রহম-বরকত দিবা আর তুমরার মানষর পরিমান বাড়াইবা। তুমরারে যে দেশ দিবার লাগি তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে কছম খাইছলা, অউ দেশো তুমরারে রহম-বরকত দিবা। তুমরারে আওলাদ বাড়াই দিবা, তুমরার বাগানর ফল-মুল, খেতর ফসল, আংগুরর রস, জয়তুনর তেল, গরু-বাছুর, মেড়া-ছাগল হকলতারে বাড়াই দিবা। ১৪ হকল জাতি থাকি তুমরা বেশি রহম-বরকত পাইবায়, তুমরার বেটাইন-বেটিন বা তুমরার পশুর পালর কেউ আটখুরা রইতো নায়। ১৫ আল্লা মাবুদে তুমরারে হকল লাখান বেমার থাকি বাচাইবা। মিসর দেশো তুমরা যেতা কঠিন বেমার-আজার দেখছো, ইতা তুমরারে দিতা নায়, খালি তুমরার দুশমন অকলরে দিবা। ১৬ তুমরার মাবুদ আল্লায় যতো জাতির মানষরে তুমরার আতো সপিবা, ইতারে তুমরা এক্কেবারে শেষ করিলাইও, কুনু দয়া করিও না, আর তুমরা ইতার দেবতারে পুজা করিও না, আরনায় ইতা তুমরার পথর কাটা অইবা।

১৭ “তুমরা হয়তো মনে মনে কইবায়, আমরা কিলাখান তারারে খেদাইয়া দিমু? ইতা জাতির মানুষ তো পরিমানে আমরা থাকি বাক্কা বেশি। ১৮ অইলে তুমরা ইতারে ডরাইও না। ফেরাউন আর আস্তা মিসর দেশর উপরে তুমরার মাবুদ আল্লায় কিতা করছইন, ইতা তুমরা ফাউরিও না। ১৯ মাবুদে কতো বড় বড় গজব-মছিবত ঢালিয়া তারারে বিনাশ করছইন, ইতা তো নিজর চউখেও দেখছো। তাইন বউত কুদরতি কাম, বউত লাখান নিশানা আর তান বলআলা মজবুত আত দিয়া তুমরারে বার করিয়া আনছইন, ইতা মনো রাখিও। আর তুমরা অখন যেতা জাতি অকলরে দেখিয়া ডরাইরায়, ইতার উপরেও তুমরার মাবুদ আল্লায় ঠিক অউলা ঘটাইবা। ২০ এরবাদেও তুমরার গেছ থাকি লুকাইয়া যেগুইন জিতা রইযিবা, তুমরার মাবুদ আল্লায় ভিংগুলর পাল পাঠাইয়া ইতা হকলটিরে বিনাশ করবা। ২১ তে তুমরা ইতারে ডরাইও না, জানো তো, তুমরার মাবুদ আল্লা যেইন তুমরার লগে বসত করইন, এইন বড় ভয়ংকর আর মহান। ২২ তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরার ছামনে থাকি আস্তে আস্তে অতা জাতিরে খেদাই দিবা। অইলে হকলটিরে তো তুমরা একলগে খেদাইতায় পারতায় নায়, খেদাইলে জংলি জানুয়ারে তুমরার চাইরোবায় ভরিযিবা। ২৩ তা-ও তারা এক্কেরে বিনাশ অওয়ার আগ পর্যন্ত তুমরার মাবুদ আল্লায় তারারে বেজুইতা অশান্তিত ফালাইয়া তুমরার আতো সপিয়া বিনাশ করাইবা। ২৪ তারার রাজা-বাদশা অকলরেও তুমরার আতো সপিবা, তুমরা দুনিয়া থাকি ইতার নাম মিটাইলিবায়, ইতারে বিনাশ করার আগ পর্যন্ত কেউ আইয়া তুমরার ছামনে উবানির তাক্কত অইতো নায়।

২৫ “তুমরা ইতার মুর্তি অকলরে আগুনিত ফালাইয়া জালাইলিও। তারার গতরর সোনা-রুপার বায় লালছ করিও না, আরনায় ফান্দো পড়বায়। মনো রাখিও, তুমরার মাবুদ আল্লায় ইতারে ঘিন্নাইন। ২৬ ঘিন্নার কুনু জিনিস তুমরার ঘরো হারাইলে তুমরাও অতার লাখান বনিযিবায়। বরং তুমরাও ইতারে খুব ঘিন্নাইও আর তুচ্ছ করিও, ইতা তো লান্নতি।