হজরত মুছা (আঃ) অর তিন নম্বর নছিয়ত (২৯-৩০ রুকু)
২৯
১ মাবুদে মুছা নবীর মারফতে তুর পাড়র উপরে, বনি ইছরাইল জাতির লগে আগে এক আপোস-চুক্তি করছলা, অখন মোয়াব দেশো মাবুদে দুছরা আপোস-চুক্তি বওয়াল করলা। ইতা অইলো অউ আপোস-চুক্তির শর্ত অকল।হজরত মুছায় হিরবার আল্লাই আপোস-চুক্তি বওয়াল করলা
২ মুছা নবীয়ে হকল বনি ইছরাইলরে আনাইয়া কইলা, “আল্লা মাবুদে মিসরর ফেরাউনর লগে, তার উজির-নাজিরর লগে, আর মিসরর হক্কলতার লগে যেতা করছিলা, ইতা তো তুমরা দেখছো। ৩ বড় বড় আজব ঘটনাত জয়ী অওয়া, মাবুদর নানান লিলা-খেলা, আর কুদরতি কাম তো তুমরা নিজর চউখে দেখছো। ৪ অইলে ইতার মর্ম বুজার মতো মন, দেখার মতো চউখ, হুনার মতো কান, মাবুদে অখনও তুমরারে দিছইন না। ৫ আমি চাল্লিশ বছর ধরি তুমরারে অউ মরুভুমির মাজে ছফর করাইছি, এরমাজে তুমরার ফিন্নর কাপড় নষ্ট অইছে না, পাওর জুতাও ছিড়ছে না। ৬ কুনু ভাত-রুটিও খাইছো না, আংগুরর শরবত বা কুনুজাত শরাব তুমরা খাইতায় পাইছো না। ইতা হকলতা তো তাইনউ করছইন, যাতে তুমরা বুজো, তাইনউ তুমরার মাবুদ আল্লা।
৭ “তুমরা হউ জাগাত যাওয়ার বাদে, হিশবনর বাদশা সীহোন আর বাশনর বাদশা উজে আমরার লগে লাড়াই করাত আইছলা, আইলে আমরা তারারে আরাই দিলাম। ৮ তারার দেশরে দখলো আনিয়া আমরা আস্তা রুবেন খান্দান, আস্তা ছাদু খান্দান আর মানশা খান্দানর অর্ধেক মানষরে বাটিয়া দিলাম। ৯ এরলাগি তুমরা অউ আপোস-চুক্তির হকল হুকুম-আহকাম খুব খিয়ালি অইয়া মানিও, মানলে হকল কাম-কাজো তুমরার ফায়দা অইবো।
১০ “তুমরার মাবুদ আল্লার ছামনে আইজ তুমরা হকল আইয়া আজির অইছো, তুমরার খান্দানর আমির অকল, ময়-মুরব্বি অকল, অফিসার অকল, আর বনি ইছরাইলর হকল বেটাইন। ১১ তুমরার লগে অইয়া তুমরার বউ, পুয়া-পুড়িন, আর ভিন জাতির হউ মানুষ অকল যেতায় তুমরার দারু ফাড়ইন আর পানি বইয়া আনইন তারাও আইছইন। ১২ তুমরা হকল অনো আইয়া আজির অইছো, তুমরার মাবুদ আল্লায় কছম খাইয়া যে আপোস-চুক্তি আইজ বওয়াল কররা, অউ আপোস-চুক্তিত তুমরা নিজে নিজে আইজ হামাইরা। ১৩ আর মাবুদে আগর আমলর তুমরার ময়-মুরব্বি ইব্রাহিম, ইছহাক, আর ইয়াকুব নবীর লগে কছম খাইয়া যে ওয়াদা করছলা, হউ ওয়াদা মাফিক অখন থাকি তাইন তুমরার আল্লা, আর তুমরা তান খাছ প্রজা বনিয়া রইতে রাজি আছো, অখান মানাত আইছো। ১৪ তে আমি অখন যে আপোস-চুক্তি আর ওয়াদা বওয়াল কররাম, ইতা খালি তুমরার লগে নায়, ১৫ বরং তুমরা যতো জন অখন আমরার মাবুদ আল্লার ছামনে আজির আছো, তুমরার লগে, আর তুমরার যেতা আওলাদর জনম অখনও অইছে না, তারার লগেও অউ আপোস-চুক্তি জারি রইবো।
১৬ “তুমরা নিজেউ তো জানো, মিসর দেশো আমরা কিলা দিন কাটাইছি, বাদে কতো দেশ আর কতো পথ-ঘাট পার অইয়া অনো আইয়া আজিছি। ১৭ তুমরা তো অতা দেশর মানষরে সোনা, রুপা, পাথর আর লাকড়িদি বানাইল জঘইন্য দেব-দেবীর মুর্তি অকলর পুজা করতে দেখছো। ১৮ তুমরা খুজ-খবর লইয়া দেখো, তুমরার মাজে যানু অউ লাখান কুনু বেটা বা বেটি, কুনু বংশ বা খান্দান না থাকে, যেতায় তুমরার মাবুদ আল্লারে বাদ দিয়া হতা দেব-দেবীর পুজা করার লাগি খিয়ালি অইযায়। যুদি ইলা কুনুগু থাকে, তে অগু অইলো অলা বিষাক্ত গাছর জড়, যে জড়র ডেম অউ বিষাক্ত তিত্তা গাছ বনবো। ১৯ যেতা মানষে অউ কছম খাওয়ার কথা হুনিয়াও যুদি তার নিজরে খুব কপালি মনো করে, আর বেপরোয়া অইয়া চললেও কুনু সমস্যা নাই ইলা মনো করে, তে তুমরার ভালা-বুরা দুইওটার উপরে অতা মানষে সর্বনাশ ডাকিয়া আনবো। ২০ মাবুদে কুনুমন্তেউ এরারে মাফি দিতা নায়, এরার উপরে তান গুছার আগুইন দাউ দাউ করি জলিয়া উঠবো। আর অউ কিতাবর মাজে যতো লাখান লান্নতর কথা লেখা আছে, ইতা হক্কলতা এরার উপরে ঢালিবা, মাবুদে আস্তা দুনিয়া থাকি তারার নাম মিটাইলিবা। ২১ তাইন দুখ-মছিবতো ফালানির লাগি হক্কল বনি ইছরাইল থাকি তারারে বাছিয়া আলগ করবা, অউ তৌরাত কিতাবর হুকুম-আহকামর মাজে যতো লাখান লান্নতর কথা লেখা আছে, ইতা অতা মানষর উপরে ছাড়িবা।
২২ “আর মাবুদে অউ দেশর উপরে যতো নমুনার লান্নতি গজব আর বেমার-আজার ঢালিবা, ইতা দেখিয়া তুমরার আওলাদ অকলে আর ভিন দেশ থাকি আওয়া মুছাফির অকলে তুমরার ই দশা দেখিয়া কারন জিকাইবা। ২৩ নুন আর গন্ধকে আস্তা দেশর মাটি জলিযিবো, ই মাটিত কুন্তা ফলিতো নায়, কুন্তা লাগাইলে অইতো নায়, মাটির উপরে কুনুজাতর ঘাস, লতা-পাতা জন্মিতো নায়। ইখান হউ লান্নতি দেশ ছাদুম, আমুরা, অদমা আর ছবয়িমর লাখান বনিযিবো, মাবুদর গুছার আগুইন জলিয়া উঠায় তাইন তো ইতারে বিনাশ করিলিছলা। ২৪ অতা দেখিয়া হকল জাতির মানষে জিকাইবা, মাবুদে ই দেশর হালত কেনে ইলা করলা? তাইন কেনে অতো বড় গুছা করলা?
২৫ “তেউ মানষে জুয়াপ দিবা, অউ জাতির মানষে তারার ময়-মুরব্বির মাবুদ আল্লার বওয়াল করা হউ আপোস-চুক্তি বাদ দিলাইছে, মিসর দেশ থাকি তারারে বার করি আনার বাদে যে চুক্তি বওয়াল করা অইছিল। ২৬ তারা হউ মাবুদরে বাদ দিয়া তারার গেছে নয়া, অতা দেব-দেবীর পুজাত লাগছে, যেতা দেব-দেবীর কথা মাবুদে কইছইন না, অতার গেছে মাথা নোয়াইয়া সইজদা করাত লাগছে। ২৭ এরলাগি অউ দেশর উপরে মাবুদর গুছার আগুইন জলিয়া উঠছে, তাইন অউ কিতাবো লেখা হকল নমুনার লান্নতি গজব ই দেশো নাজিল করছইন। ২৮ গুছার আগুইনে জলিয়া, তারার উপরে বেজুইতা গজব ঢালিয়া তারারে অউ দেশ থাকি জড়ে-ফড়ে তুলিয়া তারারে ভিন দেশো নিয়া আছাড় মারি ফালাইছইন, আর অখনও তারা হনো আছইন।
২৯ “বাতুনি হকলতাউ তো আমরার মাবুদ আল্লার আতো, অইলে জাইর করা হকলতা চিরকালর লাগি আমরা আর আমরার আওলাদ অকলর আতো, যাতে আমরা অউ শরিয়তর হকল হুকুম-আহকাম আমল করতাম পারি।”