বনি ইছরাইলে দেশে দেশে ঘুরা
২
১ হজরত মুছায় আরো কইলা, “মাবুদে আমারে যেলা হুকুম দিছলা, অউলা আমরা পিছাইয়া গিয়া মরুভুমির মাজেদি নীল দরিয়ার মুখা রওয়ানা দিলাম। সেয়ীরর পাড়িয়া এলাকা চক্কর দিয়া যাইতে আমরার বউত দিন গেলগি। ২ বাদে মাবুদে আমারে কইলা, ৩ তুমরা বাক্কা দিন থাকি অউ পাড়িয়া এলাকাত চক্কর দিরায়, অখন উত্তর মুখা রওয়ানা দেও। ৪ এরবাদে তাইন আমারে কইলা, আমি তুমরারে জানাইতাম তুমরা অখন শেখ ঈষʼর আওলাদর দখলে থাকা সেয়ীর দেশর ভিতরেদি যাইতে অইবো। গেলে তুমরারে দেখিয়া তারা ডরাইবা, অইলে তুমরা খুব হুশিয়ার রইও, এরা তো তুমরার ভাইয়াইন। ৫ তারার লগে কাইজ্জা-ফসাদ করিও না। মনো রাখিও, তারার দেশর এক ইঞ্চি জমিও আমি তুমরারে দিতাম নায়। কারন আস্তা সেয়ীর পাড়র মালিকানা আমি শেখ ঈষʼরে দিলাইছি। ৬ তারার অউ দেশ পার অইয়া যাইবার কালো তুমরার খানি-খুরাকি লাগলে টেকাদি লইয়া খাইবায়, অউলা পানিও লইয়া খাইবায়।৭ “তুমরার মাবুদ আল্লায় হকল কামর মাজেউ তুমরারে রহম-বরকত দিছইন। অউ অতো বড় মরুভুমি পারনির বালা তাইন তুমরারে হেফাজত করছইন। অউ চাল্লিশ বছর ধরি তুমরার মাবুদ আল্লা তুমরার লগে লগে আছইন, এরলাগি কুনু লাখান অভাব অইছে না।
৮ “তেউ আমরা ফাতারি পথে আটিলাম, আটিয়া আমরার ভাই সেয়ীরর বাসিন্দা ঈষʼর আওলাদর দেশ ফালাইয়া গেলাম। আমরা আরাবা তলভুমির যে রাস্তা এলাত আর ইজিয়ন-গেবর থাকি বার অইয়া আইছে, অউ পথেদি না গিয়া মোয়াবর মরুভুমির মুখা আটা ধরলাম। ৯ আর মাবুদে আমারে কইলা, তুমরা মোয়াবী অকলরে ছাতাইও না, কুনু যুদ্ধর ভাব-সাব দেখাইও না। মনো রাখিও, তারার দেশর কুনু জমিউ আমি তুমরারে দিতাম নায়। তারার রাজধানি আউর টাউনর মালিকানা আমি লুত নবীর আওলাদ মোয়াবী অকলরে দিলাইছি।”
১০ (আগে এইমী জাতির মানুষ অউ এলাকাত রইতা, ইতা আছলা পয়লোয়ান জাতি, তারা পরিমানে আছলা বউত জন, আর দেখতে আনাকী জাতির লাখান উচা-মোটা লাম্বা। ১১ আনাকী অকলর লাখান এইমী অকলরেও রফায়ী নামে ডাকা অইতো, অইলে মোয়াবী অকলে ইতারে এইমী কইয়া ডাকিতা। ১২ সেয়ীর পাড়ো হোরীয় অকলে বসত করতা, বাদে ঈষʼর আওলাদ অকলে তারারে খেদাইয়া দিয়া ইখান দখল করলা। মাবুদর আতে বনি ইছরাইলে যেলা কেনান দেশর মালিকানা পাইয়া কেনানী অকলরে খেদাইবা, ঠিক অলা ঈষʼর আওলাদ অকলেও করছলা। তারা হোরীয় অকলরে বিনাশ করিয়া হকল জমি-মাটি দখল করিয়া নিজে হনো বসত করলা।)
১৩ মুছা নবীয়ে আরো কইলা, “বাদে মাবুদে হুকুম দিলা, তুমরা জলদি করি রওয়ানা অও, আর জেরেদ পাড়িয়া খাল পার অইয়া হপারো যাও। তেউ আমরা পার অইলাম। ১৪ আর কাদেশ-বর্নেয়া থাকি বার অইয়া হারি জেরেদ গুল্লা পার অইয়া আইতে আমরার আটতিশ বছর লাগছিল। এরমাজে অউলা অইলো, মাবুদে আগে কছম খাইয়া যেলা কইছলা, অউলা কাদেশ-বর্নেয়া থাকি বারনির কালো আমরার যতো সিপাই আছলা, এরা হকলউ অউ আটতিশ বছরে মরিগেলা। ১৫ বনি ইছরাইল সমাজ থাকি তারারে বিনাশ করার আগ পর্যন্ত মাবুদ তারার বিপক্ষে আছলা।
১৬ “অউ হকল সিপাই মরিয়া শেষ অইয়া হারলে, ১৭ মাবুদে আমারে কইলা, ১৮ আইজ তুমরা মোয়াবী অকলর দেশর সীমানা পার অইবায়, তারার রাজধানি আউর টাউনর কান্দাবায় যাইবায়। ১৯ অইলে তুমরা যেবলা বনি-আম্মান দেশর কাছাত যাইবায়গি, গিয়া তারারে ছাতাইও না, তারারে যুদ্ধর ভাব-সাব দেখাইও না। মনো রাখিও, তারার দেশর কুনু জাগাউ আমি তুমরারে দিতাম নায়, ইখানর মালিকানা তো আমি লুত নবীর আওলাদ বনি-আম্মানরে দিলাইছি।”
২০ (আগে রফায়ী অকল অনো রইতা, এরলাগি ইখানরে রফায়ী অকলর দেশ কইয়া ডাকা অইতো। আর বনি-আম্মানে ইতারে জাম-জামিমী কইয়া ডাকিতা। ২১ রফায়ী জাতি পয়লোয়ান আছলা, দেখতে আনাকী জাতির লাখান উচা-মোটা লাম্বা আর পরিমানেও বউত বেশি আছলা। মাবুদে বনি-আম্মান জাতির আতো ইতারে বিনাশ করাইলা, বনি-আম্মানে রফায়ী জাতিরে খেদাই দিয়া অউ দেশ দখল করলা। ২২ মাবুদে ঈষʼর আওলাদ অকলরেদি অউ একই কাম করাইলা, তাইন এরার আতো হোরীয় জাতিরে বিনাশ করলা। এরা হোরীয় অকলরে খেদাইয়া দিয়া, তারার সেয়ীর দেশ দখল করিয়া বসত কররা। ২৩ এরমাজে কপ্তোর দ্বীপ থাকি কপ্তোরী জাতিয়ে আইয়া অব্বী জাতিরে বিনাশ করলা, তারার মাটিরে দখল করিয়া বসত করলা। অউ অব্বী অকল গাজা টাউনর ধারো বসত করতা, হনর হকল গাউ-গেরামো তারা রইতা।)
২৪ “এরবাদে মাবুদে কইছলা, ও বনি ইছরাইল, তুমরা বারঅও, বার অইয়া অরনন খালর হপারো যাও। হুনো, আমোরী জাতির বাদশা সীহোন আর তার হিশবন দেশরে আমি তুমরার আতো সপি দিছি। ইখান দখল করাত গিয়া বাদশারে যুদ্ধর ফিল্ডো লামাও, ২৫ তেউ দেখবায়, আমি মাবুদে আইজ থাকি জগতর হকল জাতির দিলো ডর হারাই দিমু, তুমরার ডরে তারা কাপিবা। তুমরার আওয়াজ হুনলেউ তারার জানো ধড়-ফড় শুরু অইবো।”
বাদশা সীহোন আর তার জাতির বিনাশ
২৬ মুছা নবীয়ে বনি ইছরাইলরে আরো কইলা, “বাদে আমি আপোস-চুক্তি করার খিয়ালে খাদিমোত মরুভুমি থাকি হিশবনর বাদশা সীহোনর গেছে খবরিয়া পাঠাইলাম, কইলাম, ২৭ আমরা আপনার দেশর ভিতরেদি পার অইয়া যাইতাম চাই, অনুমতি দিবা নি? আমরা আতারে-ফাতারে কুনুবায় যাইতাম নায়, খালি মুল সড়কেদি আটিয়া যাইমু। ২৮-২৯ আমরা নগদ টেকাদি আপনার গেছ থাকি খানি-খুরাকি বা পানিও খরিদ করিয়া খাইমু। আমরার মাবুদ আল্লায় আমরারে যে দেশখান দিতা চাইরা, জর্দান গাং পার অইয়া হউ দেশো যাইবার আগ পর্যন্ত, আপনার দেশর উপরেদি আমরারে আটিয়া যাইতে দেউক্কা। সেয়ীরর পাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ঈষʼর আওলাদ অকলে, আর আউর টাউনর বাসিন্দা মোয়াবী অকলেও আমরারে অলা পার অইতে দিছইন।
৩০ “অইলে হিশবনর বাদশা সীহোন রাজি অইলো না, আমরারে যাইতে দিলো না। তুমরার মাবুদ আল্লায়উ তার দিলরে পাষান বানাইল্লা, তার মনর ভাব লুয়ার লাখান অইগেল, যাতে তুমরার আতো তার বিনাশ অয়, আর ঠিকউ অলা অইলো। ৩১ তেউ মাবুদে আমারে কইলা, ও মুছা, সীহোন আর তার বাদশাইরে আমি তুমার আতো সপি দিলাম। অখন তুমি হনো যাও, গিয়া অউ দেশ দখলে আনাত লাগো, আর হনো বসত করো।
৩২ “তেউ ইয়াহাজ এলাকাত সীহোনে তার হকল সিপাই দল লইয়া আমরার লগে লাড়াই করাত আইলো, ৩৩ অউ সময় আমরার মাবুদ আল্লায় তারে আমরার আতো ফালাইলা। আমরা বাদশারে, তার পুয়াইন্তরে, তার সিপাই দলরে নিপাত করলাম। ৩৪ আর আমরা তার হকল টাউন, গাউ-গেরাম হকলতা দখল করলাম, তারার হকল বেটাইন-বেটিন আর হুরুতারে বিনাশ করলাম। একজনও জিন্দা রইছে না। ৩৫ খালি তারার পশুর পাল আর গনিমতর মাল-ছামানা আমরার লাগি আনলাম। ৩৬ অরনন খালর সীমানার আরোয়ার টাউন, আর অউ এলাকার এক গাউ থাকি আরক গাউ দখল করি করি, গিলিয়দ পর্যন্ত কুনু জাগা আমরার দখলর বাইরে রইলো না। আমরার মাবুদ আল্লায় ইতা হকলতা আমরার আতো দিলা। ৩৭ খালি বনি-আম্মান জাতির দেশ, জাব্বোক পাড়িয়া খালর কান্দা-কাছার হকল জিলা, পাড়র উপরর গাউ-গেরাম, আর আমরার মাবুদ আল্লায় যেতা জাগা দখল করতে নিষেধ করছইন, অউ জাগা খানাইন তুমরার দখলর বাইরে রইলো।”