হজরত ইছারে ইবলিছ-শয়তানে পরিক্ষা করলো
 ইছা পাক রুহে কামিল অইয়া,
জর্দান গাংগো থাকি উঠিয়া মরুভুমিত গেলাগি।
গিয়া পাক রুহর ইশারায় একলাগা চাল্লিশ দিন মরুভুমিত ঘুরিলা।
 আর ইবলিছ আইয়া তানরে পরিক্ষা চালাইলো।
অউ চাল্লিশ দিন একলাগারে রোজা আছলা,
কুনুজাত খানা খাইছইন না।
এরবাদে তান পেটো ভুক লাগলো।
 তেউ ইবলিছে তানরে কইলো,
“তুমি যুদি ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন অও,
তে অউ পাথররে কও না রুটি অইযিতো।”
 ইছায় জুয়াপ দিলা,
“আল্লার কালামো বাতাইল অইছে,
খালি রুটি খাইলেউ মানুষ বাচে না।”
 বাদে ইবলিছে তানরে খুব উচা এক জাগাত লইয়া গেল,
নিয়া হারি এক পলকে দুনিয়ার তামাম মুল্লুক তানরে দেখাইলো আর কইলো,
 “ই তামাম মুল্লুকর বাদশাই আর জাক-জমক আমি তুমারে দিলাইমু।
ইতা হক্কলতার মালিকানা আমারে দেওয়া অইছে।
আমি যারে খুশি তারে দিতাম পারি;
 খালি তুমি আমারে সইজদা করিলাও,
তেউ ই হক্কলতা তুমার অইযিবো।”
 ইছায় তারে কইলা,
“আল্লার কালামো আছে,
তুমি খালি আপন মাবুদ আল্লারে সইজদা করবায়,
খালি তান এবাদত করবায়।”
 তেউ হে ইছারে লইয়া জেরুজালেম টাউনো গেল,
গিয়া পবিত্র কাবা ঘর বায়তুল-মুকাদ্দছর মিনারার উপরে তানে উবা করিয়া কইলো,
“তুমি যুদি ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন অও,
তে দেখিছাইন,
অন থাকি ফাল দিয়া লামাত পড়ো।
১০ কিতাবো তো লেখা আছে,
 
আল্লায় তান ফিরিস্তা অকলরে হুকুম দিবা,
আর তারা তুমারে বাচাইবা।
১১ তারা নিজর আতদি তুমারে ধরিলিবা,
যাতে তুমার পাওত কুনু পাথরর চুট না লাগে।”
 
১২ ইছায় তারে কইলা,
“কিতাবো লেখা আছে,
তুমি তুমার মাবুদ আল্লারে পরিক্ষা করাত লাগিও না।”
১৩ ইবলিছে তার হকল নমুনার পরিক্ষা শেষ করিয়া,
আপাততো তান গেছ থাকি হরিয়া গেলগি।
গালিল জিলাত হজরত ইছার কেরামতি আর তবলিগ (৪:১৪-৯:৫০)
নিজর গাউত হজরত ইছা
১৪ বাদে পাক রুহর কুদরতে ইছা গালিল এলাকাত গেলা,
গিয়া হারলে তান নাম চাইরোবায় রটিগেল।
১৫ তাইন হনর মছিদো মছিদো গিয়া বয়ান-তালিম দিলা,
তেউ হকল মানষে তান তারিফ করলো।
১৬ আর ইছা হউ নাছারত গাউত আইলা,
যে গাউত তাইন হুরু থাকি বড় অইছইন।
অনো আইয়া তাইন নিজর নিয়ম মাফিক জুম্মাবারে মছিদো গিয়া খুতবা পড়াত উবাইলা।
১৭ ইশায়া নবীর ছহিফাখান তান আতো দেওয়া অইলো।
তাইন কিতাব খুলিয়া অউ আয়াত বার করলা,
যে আয়াতো লেখা আছে,
 
১৮ আমার দিলো মাবুদর রুহ বসত করইন,
তাইনউ আমারে খেলাফতি দিয়া বেজিছইন,
গরিব অকলর গেছে খুশ-খবরি জানানির লাগি।
আর বন্দি অকলর গেছে আজাদির কথা,
আন্দা অকলর গেছে চউখে দেখার কথা,
যেরার উপরে জুলুম অর তারারে বাচানির কথা
এলান করার লাগি বেজিছইন।
১৯ আর অউ কথা এলান করার লাগিও বেজিছইন,
অখন মাবুদর রহমত দেখানির সময় অইগেছে।
 
২০ খুতবা তিলাওত করিয়া হারলে,
তাইন কিতাবখান আটাইয়া মছিদর মতল্লীর আতো দিয়া বইলা,
মছিদর হকল মানষে তান বায় ধিয়ান ধরি চাই রইছে।
২১ তাইন কইলা,
“আছমানি কিতাবর ই আয়াত খানাইন,
আইজ আপনারা হুনার লগে লগেউ ফলিগেল।”
২২ হকল মানষে তান তারিফ করলো,
তান মুখ থাকি অতো সুন্দর বয়ান হুনিয়া তাইজ্জুব অইগেল।
তারা কইলো,
“এইন ইউছুফর পুয়া নায় নি বা?”
২৩ এরমাজে ইছায় তারারে কইলা,
“আপনারা নিচয় আমারে অউ ছিল্লেখ হুনাইবা,
ডাক্তর সাব,
নিজর বেমার শিফা করো।
কফরনাউমো বুলে বউত কেরামতি-মোজেজা দেখাইছো,
তে অখন নিজর গাউতও অতা দেখাও না।
২৪ হুনউক্কা,
আমি আপনাইন্তরে হক কথা কইরাম,
কুনু নবীরেউ তান নিজর গাউর মানষে মানইন না।
২৫ আর ইখানও হাছা কথা,
ইলিয়াছ নবীর জমানাত একলাগা সাড়ে তিন বছর কুনু মেঘ অইছিল না,
আস্তা দেশো বেজুইতা নিদান আছিল।
হউ সময় তো ইছরাইল দেশো বউত ড়াড়ি বেটিন আছলা,
২৬ অইলে ইলিয়াছ নবীরে এরা কেউরর গেছে না বেজিয়া,
খালি সিদন দেশর সারিফত গাউর এক ড়াড়ি বেটির গেছে বেজা অইছিল।
২৭ আর আলিয়াছা নবীর আমলো ইছরাইল দেশো বউত পচা-কুষ্ঠ বেমারি আছলা,
অইলে এরা কেউররে ভালা না করিয়া,
খালি সিরিয়া দেশর নামানরে ভালা করা অইছিল।”
২৮ ইখান হুনিয়াউ মছিদর সব মানুষ গুছায় আগুইন অইগেলা।
২৯ তারা উঠিয়া তানরে ঠেলিয়া খেদাইয়া গাউর বারে লইয়া গেল,
গিয়া গাউর কুনার খাড়া টিল্লার উপরে নিয়া,
ধাক্কাদি তলে ফালাইতো চাইলো।
৩০ অইলে ভিড়র মাজ থনে তাইন আটিয়া হরিয়া গেলাগি।
আল-মসীয়ে বউত বেমারির শিফা করলা
৩১ বাদে ইছা গালিল এলাকার কফরনাউম টাউনো গেলা,
গিয়া জুম্মাবারে মানষরে ওয়াজ-নছিয়ত করলা।
৩২ তান ওয়াজ হুনিয়া মানুষ তাইজ্জুব অইগেলা,
তাইন তো পুরা হিম্মত আলা জনর লাখান তালিম দিতা।
৩৩ হউ মছিদো জিনর আছর আলা এক বেটা আছিল।
হে জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলো,
৩৪ “ও নাছারতর ইছা,
আমরার গেছে কেনে আইছইন?
আমরারে বিনাশ করাত আইছইন নি?
আমি জানি আপনে কে,
আপনেউ আল্লার হউ পাক-পবিত্র জন।”
৩৫ ইছায় তারে ধামকি দিয়া কইলা,
“চুপ,
এর ভিতরে থাকি বার অই যা।”
জিনে লগে লগেউ তারে আছাড় মারি হকলর মাজখানো ফালাইয়া,
কুনুজাত খেতি না করিয়া ছাড়িয়া গেলোগি।
৩৬ ইতা দেখিয়া মানুষ তাইজ্জুব বনিয়া মাতা-মাতি লাগাইলা,
“ইতা কিতা দেখলাম?
তাইন হিম্মত আর খেমতা খাটাইয়া জিন অকলরে হুকুম দেইন,
তারাও দেখি বার অইয়া যায়গি।”
৩৭ বাদে হিনর হক্কল জাগাত ইছার কেরামতির খবর রটিগেল।
৩৮ মছিদ থাকি বার অইয়া তাইন সাইমনর বাড়িত গেলা।
সাইমনর হড়ির খুব বেশি তাপ উঠছিল,
এরদায় হকলে ইছারে খুব মিনত করলা।
৩৯ তাইন সাইমনর হড়ির কান্দাত উবাইয়া তাপরে ধমক দিলা।
ধমকর লগে লগেউ তাপে ছাড়িদিলো।
বেটিয়ে উঠিয়া তারার মেহমান দারিত লাগলা।
৪০ হাইঞ্জা বালা মানষে বউত জাতর বেমারিরে লইয়া ইছার গেছে আইলা।
ইছায় তারা হকলর গতরো আতাই দিয়া বেমার ভালা করলা।
৪১ জিনর আছর আলাও বউত বেমারি আছলা,
তারাও ভালা অইলা।
জিন অকলে জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলা,
“আপনেউ ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন।”
অইলে তাইন ইতারে ধামকি দিয়া মুখ বন্দ করলা।
তারার তো জানা আছিল,
তাইনউ আল্লার ওয়াদা করা হউ আল-মসী।
৪২ বিয়ানে উঠিয়া হারি,
ইছা হি গাউ ছাড়িয়া এক নিরাই জাগাত আইলা।
মানষে তানরে তুকাই তুকাই তান ধারো আইলো,
আইয়া মিনত-কাজ্জি করলো যাতে তাইন তারার গেছে রইন।
৪৩ অইলে তাইন জুয়াপ দিলা,
“আমি আরো বউত জাগাত গিয়া আল্লার বাদশাইর খুশ-খবরি তবলিগ করা জরুর,
অউ কামর লাগিউ আল্লায় আমারে বেজিছইন।”
৪৪ বাদে তাইন আস্তা ইহুদি দেশর মছিদাইন্তো গিয়া তবলিগ করলা।