আল-মসীর সাহাবির জিন্দেগির নমুনা
 আমরারে দেখিয়া মানষে বুজউক,
আমরা আল-মসীর খাদিম,
আল্লাই বাতুনি ভান্ডারর খাজাঞ্চি।
 আর যেরার উপরে ভান্ডারর খাজাঞ্চির ভার দেওয়া অয়,
তারা তো পরমান দেখানি লাগবো,
তারা হক-হালাল।
 তে আমি হক-হালাল কি না ই বিচার তুমরা করো বা আদালতেউ করউক,
এতে আমার কুন্তা যায় আয় না।
আমি তো আমার নিজর বিচারউ করি না।
 আমার মন সাদা অইলেও পরমান করা যার না আমি নির্দুষ।
তে মালিক ইছায়উ আমার বিচার করবা।
 এরলাগি সঠিক সময়র আগ পর্যন্ত,
মানি মালিক ইছা হিরবার না আওয়া পর্যন্ত তুমরা কুনু বিচার করিও না।
আন্দাইরো যেতা লুকাইল আছে,
তাইন আইয়া ইতারে ফরো আনবা আর মানষর দিলর গোপন নিয়ত অকল জাইর করবা।
হউ সময় আল্লার গেছ থাকি হকলে যারযির পাওনা তারিফ পাইবা।
 ভাই অকল,
তুমরার ভালাইর লাগি আমি আমার নিজর আর আপল্লছর উদাহরন দিয়া তুমরারে কইলাম,
যাতে তুমরা আমরার গেছ থাকি অউ তালিম নেও,
আছমানি কিতাবো যেতা লেখা আছে,
ইতার বারে যাওয়া ঠিক নায়।
তে তুমরা একজনরে থইয়া আরেক জনরে লইয়া বড়াই করিও না।
 কেউ যানু মনো না করে তুমি আলাদা কুন্তা বনিগেছো।
তুমার নিজর এমন কুন ধন আছে,
যেতা তুমি আল্লার গেছ থাকি লিল্লা পাইছো না?
আর ইতা যুদি লিল্লা পাইয়া থাকো,
তে লিল্লা পাইছো না কইয়া বেটাগিরি কররায় কেনে?
 তুমরারে দেখিয়া তো মনো অর,
তুমরা আগেউ হক্কলতা পাইয়া ধনি অইগেছো,
আমরারে বাদ দিয়াউ তুমরা বাদশা বনিগেছো!
তুমরা হাছারর বাদশা অইলে ভালাউ অইতো,
আমরাও তুমরার লগে বাদশা অইতাম পারতাম।
 যুদ্ধ-বন্দি অকলরে মারিলিবার নিয়তে,
যুদ্ধর বিজয় মিছিলর খরর কাতারো যারারে রাখা অয়,
আমার মনো অয় আল্লায় আমরার লাখান সাহাবি অকলরেও অলা হকলর খরে রাখছইন।
আমরা আস্তা জগতর গেছে,
হকল মানষর গেছে,
আর ফিরিস্তা অকলর গেছেও তামশার নায়ক বনিগেছি।
১০ আমরা তো আল-মসীর লাগি বেআখল অইছি,
আর তুমরা বুলে আল-মসীর নামে আখলদার বনিগেছো।
আমরা কমজুর,
তুমরা বলবান,
তুমরা বুলে ইজ্জতি বনিগেছো,
আমরার তো কুনু ইজ্জত নাই।
১১ আমরা অখনও পেটর ভুকে,
পানির পিয়াছে,
কাপড়-চুপড়র অভাবে কষ্ট করিয়ার,
বাড়ি-ঘর নাই করি বৈতলর লাখান রইয়ার আর মাইর-ধইর খাইয়ার।
১২ হামেশা নিজর আতে মেনত করি খাইয়ার।
মানষর গাইল-মন্দ হুনিয়াও,
তারার ভালাই চাইয়ার,
জুলুম-নির্যাতন,
হুমকি-ধামকিরে ছবর করিয়ার।
১৩ বদনাম-গিবত সইয্য করি করি,
নরম সুরে তারারে বুজাইয়ার।
অখন পর্যন্ত আমরা আস্তা জগতর খাছরার লাখান,
হকলতার গেছেউ জইঞ্জাল বনিগেছি।
১৪ হুনো,
তুমরারে শরম দেওয়ার নিয়তে ইতা লেখরাম না,
খালি আমার মায়ার আওলাদ হিসাবে হুশিয়ার করার লাগি লেখরাম।
১৫ মনো রাখিও,
আল-মসীর বেয়াপারে তালিম দেওয়ার লাগি তুমরার আজার আজার উস্তাদ থাকতা পারইন,
অইলে তুমরার বাফ তো অতো জন নায়।
খুশ-খবরি তবলিগর মাজদি ইছায়ী জিন্দেগিত একমাত্র আমিউ অইলাম তুমরার বাফ।
১৬ অখন আমি তুমরারে মিনত করিয়া কইয়ার,
আমি যেলা চলি,
তুমরাও অলা চলো।
১৭ অউ নিয়তে আমি তিমথিরে তুমরার গেছে পাঠাইলাম,
মালিকর নামে এইন তো আমার মায়ার হক-হালাল পুত।
মালিক ইছা আল-মসীরে আমি কিলা মানিয়া চলিয়ার,
আর হকল জাগার হকল জমাতো কিলা তালিম দিয়ার,
ইতা তাইন মনো করাই দিবা।
১৮ তুমরার মাজর কেউ কেউ মনো করের,
আমি আর তুমরার গেছে আইতাম নায়,
এরলাগি তারা বড়াই-বেটাগিরি দেখাইরা।
১৯ ইনশাল্লা আমি খুব জলদিউ আইমু।
যেতায় বড়াই-বেটাগিরি দেখাইরা,
তারার মাত হুনাত নায়,
খালি তারার মুল খেমতা দেখাত আইমু।
২০ আল্লার বাদশাই তো মাত-কথার বেয়াপার নায়,
ইতা অইলো কুদরতি খেমতার বেয়াপার।
২১ তুমরার ইচ্ছা কিতা?
আমি তুমরার গেছে কিতা লইয়া আইতাম?
ছিংলা লইয়া নি,
না মায়া-মমতা আর নরম মিজাজ?